পুলিশের মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদনে বিপাকে শৈলকুপার শিক্ষক দম্পতি
শৈলকুপা(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :
“পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে…. মামলার মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অসত্য ঘটনাকে মামলার প্রতিবেদনে সত্য বলে চালিয়ে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপার আফরোজ আল মামুন ও জাফরিন আরা নামে এক শিক্ষক দম্পতি। সরেজমিন ও ফোনকলে বাদী পক্ষের স্বাক্ষী, বিবাদী ও গণমান্যদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে”।
“তদন্ত প্রতিবেদন সুত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার ফাজেলপুর গ্রামের বাদী ফেরদৌস আরা ও বিবাদী জাফরিন আরা সম্পর্কে আপন বোন। পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে তার মা আঞ্জুমান আরা খানম ও বোনের মাঝে কলহ ও বিবাদের সুত্রপাত ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ০৪ এপ্রিল বাদী তার বোন জাফরিন আরা ও স্বামী আফরোজ আল মামুনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১০৭/১১৭(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলার সত্যতা আছে কিনা তা শৈলকুপা থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। ওসি মো. মাসুম খাঁন এস আই হুমায়ুন কবিরকে তদন্তের দায়িত্ব দেন”
‘‘মামলার শিকার শিক্ষক দম্পতি জাফরিন আরা ও আফরোজ আল মামুন জানান, সরেজমিনে এলাকায় যথোপযুক্তভাবে তদন্ত না করে মামলার প্রতিবেদনে এস আই মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে মনগড়া প্রতিবেদন দিয়েছেন। এছাড়া আমাদের সাথে তিনি কখনো এ বিষেয়ে যোগাযোগ করেননি। যেটি আসলেই অত্যন্ত দুঃখজনক”। এছাড়াও শৈল দেওয়ানী নং-৫৫১/২৩, তাং-২৮/১১/২০২৩ইং বন্টক/বাটোয়ারা মামলা ও স্থিতি আদেশ মা আঞ্জুমান আরা খানম ও ছোট বোন জাফরিন আরার নামে মামলা চলমান থাকা সত্বেও জোরপূর্বক বাড়িদখল কিভাবে করতে পারে এমন প্রশ্ন রেখেছেন? যা পুলিশ তদন্তে এড়িয়েছে গেছেন বলে জানান।
“এদিকে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা কয়েকজন স্বাক্ষীর এলোমেলো বক্তব্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সত্যতা”।
“তারা জানান, পৈতৃক সম্পত্তি মালিকানা কলহে ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর তারিখে শৈলকুপা থানায় সাধারন ডায়েরি করেন ফেরদৌস আরা। জি.ডি. নং-১১০৪। যেটি পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত না করে মামলায় রুপান্তরিত করে এবং আদালতে দাখিল করেন। সেই মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট হওয়ায় মহামান্য আদালত শিক্ষক দম্পত্তিকে মামলার দায় হতে ১১/০৯/২০২৪ তারিখে অব্যহতি/খারিজ করে দেন। কিন্তু খারিজকৃত মামলাটি নিয়ে পুলিশের এস আই আদালত হতে জামিনে মুক্ত আছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। যাহা মনগড়া ও হাস্যকর হিসাবে পরিগণিত”।
বাদীর গর্ভধারিনী মা আঞ্জুমান আরা খানম বলেন, আমার বসবাসরত বাড়িতে ফেরদৌস আরা ২০০২ সালের বিবাহের পরে কখনো বসবাস করেননি, কোন মামামাল রাখেননি ও তারঁ নিকট থেকে কোন কিছু সে গ্রহণ করেননি।
“অপরদিকে এই মামলার স্বাক্ষী শেখ মো. গোলাম কিবরিয়া ও মো. মনোয়ার হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত, নিজ চোখে ঘটনা দেখা ও বিবাদীদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ তারা দেখেননি বলে স্বীকার করেছেন। এছাড়া মামলার তদন্ত বিষয়ে পুলিশ কোন জিজ্ঞাসাবাদ করেননি বলে জানিয়েছে ফাজেলপুর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা”।
“অভিযোগের বিষয়ে এস আই হুমায়ুন কবির জানান, তারা অভিযোগ করতে পারে। আমি আসলেই সঠিক প্রতিবেদন দিয়েছি”।