শৈলকুপায় মানিকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যার অভিযোগে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
ডাকুয়া ডেস্ক ঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গত ২৫ নভেম্বর ভিডিও ব্যবসায়ী মানিকের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিবারের পক্ষ থেকে বড় ভাই মনিরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে শৈলকুপা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠত হয়। এ সময় তার স্ত্রীও ছোট 2 বাচ্চা উপস্থিত ছিলেন। মানিকের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ২৪ নভেম্বর পৌর এলাকার ফাজিলপুর ব্রীজের পাশে সাজ্জাত হোসেনের চায়ের দোকানে মানিক চা পান করতে যায়। এ সময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মানিকের সাথে সাজ্জাতের কথাকাটির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে ফাজিলপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরে ছেলে সাজ্জাত হোসেন, লালু শেখের ছেলে সাহেব আলী,, সমসের আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন এবং বিজুলিয়া গ্রামের জমির শেখের ছেলে আকমল শেখ তাকে বেপরোয়া মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয় এবং হত্যার হুমকি দেয়। এ সময় মানিকের ব্যক্তিগত মোবাইল কেড়ে নেয় হামলাকারীরা। মোবাইল ও মেমোরিকার্ড ফেরত চাইলে হত্যার হুমকি দেয় তারা। এঘটনার পর মানিক নিজ প্রতিষ্ঠানে ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে থাকে। ঐ দিন রাতে সে বাড়ি যায় নি। পরে ২৫ নভেম্বর সোমবার সন্ধায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মানিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
মৃত মানিক ৯নং মনোহরপুর ইউনিয়নের হাজরামিনা গ্রামের কিতাবুদ্দিনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুলের দাবী মানিক পরিকল্পিত হত্যার শিকার। এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি দেখতে চায় পরিবারের সদস্যরা।অভিযোগের অস্বীকার করেছে সাজ্জাদ হোসেন,তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নন, ঘটনার দিন মোবাইল নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হলে, তিনি শুধু এই মোবাইল নিয়েয ই হ্যান্ডেলিং করেছিলেন।
আর মোবাইল নিয়ে ঝামেলা ছিল অন্য জনের সাথে। সেটা একটা নেকেড ভিডিও নিয়ে।