পিএসসির সুপারিশের নয় মাস,,,,,,
সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে পদোন্নতি দেয়নি মাউশি বিভাগ
মাউশি অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন প্রেরনের নির্দেশ।।দুই মাসেও প্রতিবেদন যায়নি মাউশি বিভাগে
ডাকুয়া ডেক্স।। পিএসসি(বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয়) এর সুপারিশ ৯মাস অতিবাহিত হলেও ৮৬জনের পদোন্নতি থুনকো অজুহাত দেখিয়ে পদোন্নতি দিচ্ছেনা মাউশি বিভাগ।সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর ৮৬টি এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা ১৭টি পদে পদোন্নতি প্রদানের জন্য পিএসসি ০৪সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সুপারিশ করে।২৩সেপ্টেম্বর ২০২৪তারিখে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদায়ন করা হলেও সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে অদ্যবধি পদায়ন করেনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।২০২১ সালে এই পদোন্নতি কার্যক্রমের শুরু হতে দুইজন কর্মচারী যাদের পদোন্নতির আবেদন করার শিক্ষাগত ও ফিডার পদের অভিজ্ঞতার যোগ্যতা নেই অহিদুর রহমান, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, বর্তমানে মাউশি অধিদপ্তরে কর্মরত তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ বিভাগীয় মামলা চলমান পদোন্নতির জন্য প্রয়োজন বিএডসহ ২য় শ্রেনির স্নাতক/স্নাতকোত্তর ও সৈয়দ লিয়াকত আলী প্রধান সহকারী সেনবাগ সরকারী কলেজ নোয়াখালী ফিডার পদ পূর্ণ না হওয়া ব্যক্তি এখতিয়ার বহির্ভুত লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ সরকারী কাজে বাধাদান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, নিজেদের ফেইজবুক আইডির মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর খবর পরিবেশন,রাজনৈতিক ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে সম্পৃক্ত করে প্রভাব খাটিয়ে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ প্রদান এবং হাইকোর্টে রীট মামলা ও প্রশাসনিক ট্রাইবুনালে মামলা করে পদোন্নতি কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপে বাধাগ্রস্ত করার সকল ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। মাউশি অধিদপ্তর চুড়ান্ত জ্যেষ্ঠতা তালিকা ঘোষনার সাথে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে আপত্তি নিষ্পত্তির আবেদন না করে পিএসসিসহ বিভিন্ন দফতরে উল্লেখিত দুটি পদের পদোন্নতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।সেই প্রেক্ষিতে পিএসসি মাউশি বিভাগ এর মাধ্যমে মাউশি অধিদপ্তর হতে কোন নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি অভিযোগ ভিত্তিহীন মর্মে প্রতিবেদন গ্রহন করে।এতে তারা ক্ষ্যান্ত না হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।মামলার বিষয়ে পিএসসির চাহিদার আলোকে আইন মন্ত্রণালয় হতে দুটি পদের জন্য পদোন্নতি প্রদানের ক্ষেত্রে আইনগত বাধা নেই মর্মে মতামত প্রাপ্তির পর পিএসসি কর্তৃক দুটি পদে পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করে।সেই প্রেক্ষিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে ২৪/০৯/২০২৪ তারিখে পদায়ন করা হলেও সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে পদায়ন না দিয়ে পূনরায় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলে আইন মন্ত্রণালয় পূর্বের মতামত বহাল রেখে পত্র দেয়।তারপরও মাউশি বিভাগ সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে পদায়ন না দিয়ে ১৭মার্চ ২০২৫খ্রী তারিখে অতিরিক্ত সচিব বেগম বদরুন নাহার এর সভাপতিত্তে সভা করে একটি রেজুলেশন প্রকাশ করে।রেজুলেশনের প্রথম অণুচ্ছেদে পদোন্নতি প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অহিদুর রহমান ও সৈয়দ লিয়াকত আলীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাউশি বিভাগের নির্দেশে মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অভিযোগ ভিত্তিহীন মর্মে মতামত দেন।০৩নং অণুচ্ছেদে তারা দুইজনেই মামলা করেন।মামলার বিষয়ে পিএসসির চাহিদার আলোকে আইন মন্ত্রণালয় হতে দুটি পদের জন্য পদোন্নতি প্রদানের ক্ষেত্রে আইনগত বাধা নেই মর্মে মতামত প্রাপ্তির পর পিএসসি কর্তৃক দুটি পদে পদোন্নতির জন্য সুপারিশ প্রদান করে এবং পদসংরক্ষণের জন্য আদালত হতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।০৫নং অণুচ্ছেদে আদালত এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বিবেচনা না এনে পুনরায় লিয়াকত আলীর অভিযোগ গ্রহন করা হয় এবং১১নংঅনুচ্ছেদে জ্যেষ্ঠতা তালিকা পূনরায় যাচাই বাছাই করে প্রেরণ করার জন্য মাউশি অধিদপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। মাউশি অধিদপ্তর সাত কর্মদিবসের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করলেও অদ্যবধি মাউশি বিভাগে তথ্য প্রেরন করেননি।প্রেরণ না করার কারণ কি।সুপারিশ প্রাপ্ত ৮৬জনের মধ্যে অনেকেই অবসরে গেছেন,মৃত বরণ করছেন।কাঙ্খিত ৯৯টি পদের মধ্যে ৮৬টি পদের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে এবং আরোও ১৩টি পদে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায় নাই।সুপারিশ প্রাপ্তদের মধ্যে যারা অবসরে গেছে ও মৃত বরণ করেছেন তাদের প্রতি কর্তৃপক্ষ কোন দায় আছে কিনা?এদিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তথ্য নিলেও মাউশি অধিদপ্তর থেকে মাউশি বিভাগে যেতে কতদিন লাগবে।আর দুই জন কর্মচারী তাদের কাম্য যোগ্যতা না থাকা সত্তেও একের পর মিথ্যা আবেদন করে পদোন্নতির কালক্ষেপণ করছে। আর এর সাথে জড়িত মাউশি বিভাগ ও মাউশি অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তা।
দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির দাবী
সরকারী কাজে বাধা সৃষ্টির দায়ে মাউশি অধিদপ্তরের দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে এবার বিভাগীয় শাস্তির দাবি উঠেছে।দুই কর্মচারী অহিদুর রহমান সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর মাউশি অধিদপ্তর ও সৈয়দ লিয়াকত আলী প্রধান সহকারী সেনবাগ সরকারী কলেজ নোয়াখালী। কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ফিডার পদ পূর্ণ না হওয়া সত্তেও সহকাী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে বাধা সৃষ্টি করে যাচ্ছে।যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে সরকারী কর্মচারী শৃংখলা ও আপীল বিধি – ২০১৮ অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা সংশ্লিষ্টদের একান্ত কাম্য।